সাগাইং অঞ্চলের সাবেক আইনপ্রণেতা উ নাই জিন লাত সংবাদমাধ্যম ইরাবতীকে বলেন, ‘(হামলায়) শিশুসহ অনেকে নিহত হন এবং প্রাণহানির সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি হতে পারে।’
মিয়ানমারের সাগাইংয়ের প্রাণকেন্দ্রে মঙ্গলবার কমিউনিটি হলে প্রাণঘাতী বিমান হামলার কথা স্বীকার করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
একটি অনুষ্ঠানে চালানো ওই হামলায় নারী এবং নৃত্যরত স্কুলশিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সাগাইংয়ের পা জি গি গ্রামে কথিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিমান হামলা চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের কয়েকজন পোশাকধারী অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধা, তবে বেসামরিক পোশাক পরা লোকজনও থাকতে পারে।
জ মিন তুনের অভিযোগ, পিপল’স ডিফেন্স ফোর্সেস নামের মিলিশিয়া গোষ্ঠীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে কিছু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানায়, মঙ্গলবার সকালে যুদ্ধবিমান থেকে কমিউনিটি হলে হামলা চালানো হয়।
সাগাইং অঞ্চলের সাবেক আইনপ্রণেতা উ নাই জিন লাত সংবাদমাধ্যম ইরাবতীকে বলেন, ‘(হামলায়) শিশুসহ অনেকে নিহত হন এবং প্রাণহানির সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি হতে পারে।’
মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক জান্তার ক্ষমতা দখলের পর অন্যতম প্রাণঘাতী হামলাটি হয় গতকাল। এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র।
পাঠকের মতামত